সাইবার হামলার শিকার হয়েছে জার্মান সরকার। হামলাকারীরা পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কম্পিপউটার নেটওয়ার্ক-এ অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মান আইনপ্রণেতারা। কয়েক মাস ধরেই এই হামলা চালানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুশ হ্যাকাররা এই হামলা চালাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডয়েচে ভেল’র এক খবরে বলা হয়, হ্যাকাররা রুশ সাইবার গোষ্ঠী ‘এপিটি ২৮’ জার্মানির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কম্পিপউটার হ্যাক করেছে।
এমনকি কিছু তথ্যের নাগাল পেয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কি পরিমাণ তথ্য তাদের হাতে গেছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। এদিকে, জার্মান আইনপ্রণেতারা এই হামলাকে জার্মানির বিরুদ্ধে এক ধরণের যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছেন। গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এক এমপি জানিয়েছেন, এঙ্গেলা মার্কেলের সরকার হামলার গুরুত্ব সম্বন্ধে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে। আন্দ্রে হাহ্ন নামের পার্লামেন্টারি ইন্টিলিজেন্স কমিটির এই সদস্য বলেন, আমার চিন্তা হচ্ছে যে, আগামী সপ্তাহগুলোতে এ বিষয়ে আরো অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। আমার মনে হয়, এটা আগামী দিনগুলোতে আরো বড় রূপ ধারণ করবে।
এদিকে, পার্লামেন্ট তত্ত্বাবধান কমিটি জানিয়েছে হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা হামলা ঠেকানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা আর্মিন শুস্টার বলেন, এটি সরকারি নেটওয়ার্কে চালানো একটি প্রকৃত হামলা। এটি এখনো চলছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে এ বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান শুস্টার। তিনি বলেন, এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। কিন্তু আমরা এটা বলতে পারি যে, জার্মান সরকার এই হামলা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত আমরা যা জানি তা হচ্ছে, পদ্ধতিটি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ডয়েছে ভেলে তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, এপিটি২৮ গোষ্ঠীর পেছনে আসলে রুশ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলে অনেক তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মনে করেন। তাদের লোকবল, অর্থবল ও ক্ষমতার প্রেক্ষিতে অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত৷ ২০১৫ সালে জার্মান সংসদের কম্পিপউটার ব্যবস্থার উপর হামলার পেছনেও একই গোষ্ঠীর হাত ছিল।