গুগল অ্যাকাউন্ট: গোপন রাখুন ব্যক্তিগত তথ্য

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে। আজকালকার দিনে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অ্যাকাউন্ট নেই এমন মানুষের খোঁজ মেলা ভার।

ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস সমেত আরও কয়েকটি ওয়েবসাইটে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলছে সদস্য সংখ্যা। এগুলোতে অ্যাকাউন্ট খুলতে খুব বেশি সময়ও লাগে না, আবার ব্যবহারবিধিও সহজ। আমরা প্রায় সকলেই ব্যক্তিগত কারণে বা পেশার খাতিরে নিয়মিত অনলাইনে ঢুঁ মারি এবং এই সমস্ত সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের দৈনন্দিন তথ্য, পছন্দ অপছন্দ শেয়ার করে থাকি।

আর এভাবেই অনেক সময় আমরা নিজেদের অজান্তেই নিজস্ব কিছু গোপন তথ্যও এর মাধ্যমে প্রকাশ করে ফেলি। আর এর সুযোগ নেয় অনলাইন হ্যাকার বা জালিয়াতরা। ফলে আপনাকে আমাকে অনেকসময়ই নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। অনলাইনে অ্যাকাউন্ট বেহাত হওয়ার পর আমাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় আসে। কিন্তু এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কয়েকটি সহজ পদক্ষেপেই আপনার অনলাইন উপস্থিতিকে আরও নিরাপদ করতে পারেন আপনি।

তাই এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের এমন কিছু তথ্য দেব যেগুলো মেনে চললে এই ধরনের সমস্যা থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারবেন।

বেশির ভাগ মানুষই জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, গুগল প্লাস ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকেন। অর্থাৎ তাদের প্রত্যেকেরই একটি করে গুগল অ্যাকাউন্ট আছে। সেই অ্যাকাউন্টে সকলেই নিজের নাম, জন্মদিন, তিনি কোথায় থাকেন, কী কাজ করেন এবং কনটাক্ট ডিটেইলস এই সব কিছুই শেয়ার করেন। কিন্তু সেই তথ্য আপনি কাকে দেখাতে পারবেন এবং কাকে দেখাতে পারবেন না সেটাও নির্দিষ্ট করা যায়। এবার আপনাদের সামনে কয়েকটি উপায় তুলে ধরব, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই আপনার অ্যাকাউন্টের সব তথ্য ভিসিবল করে সকলের সঙ্গে তা শেয়ার করতে পারেন। আবার আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রাইভেট করে রাখতে পারেন বা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

গুগল অ্যাকাউন্ট 
আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করলে নোটিফিকেশন আইকনের কাছে আপনি আরেকটি আইকন দেখতে পাবেন। সেটিতে ক্লিক করলে অনেকগুলো অপশন আসবে আপনার সামনে। সেখানে \’মাই অ্যাকাউন্ট\’ অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য এবং গোপনীয়তা 
নিজের ডিটেইলস আপডেট করে পছন্দমতো সেটিংস সিলেক্ট করার পর আপনি প্রাইভেসি চেকআপ করে নেবেন যা গুগলের একটি ফিচার। তারপর আপনি চেকলিস্ট আপডেট করবেন। আপনি তথ্য আপডেট করতে শুরু করলেই আপনার কাছে একটি অপশন আসবে। সেই অপশনে আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে, আপনি কার কার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে চান। পাবলিক, প্রাইভেট, ইউর সার্কেলস, এক্সটেন্ডেড সার্কেলস এবং কাস্টম এই গ্রুপগুলির মধ্যে থেকে বেছে বেছে নিয়ে আপনি তথ্য শেয়ার করতে পারবেন।

শেয়ারিং অপশনস 
পাবলিক শেয়ারিংয়ে আপনার প্রাথমিক কিছু তথ্য থাকবে যা সকলেই দেখতে পারবেন। প্রাইভেট শেয়ারিং নিশ্চিত করবে যে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সকলে দেখতে পাবেন না। আপনি যে তথ্য আপনার নিজের সার্কেলের মানুষের মধ্যে রাখতে চাইছেন, সেই তথ্য শুধুমাত্র আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের আপনার সিলেক্ট করা সার্কেলের লোকজনই দেখতে পাবেন। আর এক্সটেন্ডেড সার্কেলের ক্ষেত্রে আপনার নিজের সার্কেলের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সার্কেলের মধ্যে থাকা লোকজনও আপনার তথ্য দেখতে পারবেন। আপনার শেয়ারিং অপশনসকে আপনি কাস্টোমাইজও করতে পারেন। আপনি আলাদাভাবে কোনও ব্যক্তিকে সিলেক্ট করতে পারেন বা নির্দিষ্ট গ্রুপ বা নির্দিষ্ট সার্কেল তৈরি করতে পারেন। ফ্যামিলি, ফ্রেন্ড, অ্যাকোয়ান্টেন্সেস অথবা অন্য কোনও গ্রুপ তৈরি করে আপনি আপনার তথ্য শেয়ার করতে পারেন।

প্রাইভেসি চেকআপ 
এবার পার্সোনাল ডিটেইলসের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার প্রেফারেন্স সেট করা। প্রাইভেসি চেকআপ সেট হয়ে গেলে আপনার পরবর্তী কাজ হবে অ্যাকাউন্ট প্রেফারেন্স ঠিক করা।

অ্যাকাউন্ট প্রেফারেন্সেস 
অ্যাকাউন্ট প্রেফারেন্সের বেশিকিছু অপশনস আছে যার মাধ্যমে গুগল প্রোফাইল কাস্টোমাইজ করা যায় এবং এখানে আপনি আপনার ল্যাঙ্গুয়েজও সিলেক্ট করতে পারবেন। তবে এখানে যদি আপনি ল্যাঙ্গুয়েজ চেঞ্জ করেন তাহলে সমস্ত গুগল অ্যাপের সেটিংসের ল্যাঙ্গুয়েজ চেঞ্জ হয়ে যাবে। গুগল ড্রাইভ স্টোরেজের সেটিংসেরও পরিবর্তন করতে পারবেন আপনি। যদি আপনি আপনার গুগল প্রোফাইল বা অ্যাকাউন্টটি আর রাখতে না চান তাহলে সেটি ডিলিট করে দেওয়ার অপশন পাবেন এখানে।

সাইন-ইন এবং সিকিউরিটি 
সাইন-ইন এবং সিকিউরিটি অপশনে গেলে আপনি দেখতে পাবেন আপনার গুগল অ্যাকাউন্টটি আপনি কোথা থেকে এবং কবে থেকে অ্যাকসেস করেন। সেইসঙ্গে আপনি কোন ডিভাইসে লগ-ইন করেন এবং আপনার ডিভাইস খুঁজে পেতেও সাহায্য করে এই অপশনটি।

সিকিউরিটি চেকআপ 
এখানে একটি সিকিউরিটি চেকআপ অপশনও থাকে এবং কিছু সাধারণ স্টেপের মাধ্যমে আপনি তা কমপ্লিট করতে পারবেন, যা আপনাকে আরো ভালো নিরাপত্তা দেবে।
সূত্র : ইন্টারনেট

NOTICE

Scroll to Top