অনলাইন জালিয়াতি: ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে জড়িত ব্যাংক কর্মীরা

মোবাইল ব্যাংকিং, এটিএম সেবার মতো অনলাইন ব্যাংকিং দেশের ব্যাংক খাতে নতুন সুযোগ তৈরির পাশাপাশি ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। বর্তমানে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যত জালিয়াতির ঘটনা ঘটে, তার ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব কর্মীরা জড়িত। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম মিলনায়তনে ‘বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক কর্মশালায় এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক তৌফিক আহমদ চৌধুরী।

বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করে। গবেষণায় বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আইটি ফার্মের যোগসাজশে ব্যাংকাররা নানা জালিয়াতি করে থাকেন। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জালিয়াতি ব্যাংক কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞরা ঘটান। শুধু ব্যাংক কর্মকর্তারা ১৮ শতাংশ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া ৯ শতাংশ জালিয়াতির সঙ্গে ব্যাংকার ও আইটি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশ রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ৫০টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, অনলাইনভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে কমে গেছে। মাত্র দুই লাখ জনবল দিয়ে এতগুলো ব্যাংক কয়েক হাজার শাখা পরিচালনা করছে। বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা খুবই ভালো। ব্যাংকারদের প্রযুক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং জালিয়াতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) ও প্লাস্টিক কার্ডের মাধ্যমে।

কর্মশালায় পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন। -প্রথম আলো।

NOTICE

Scroll to Top