আগামী ২৮ জানুয়ারি পালিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা দিবস। বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের তথ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হলেও এ নিয়ে এখনো কোনো আইন হয়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যেতে নাানা উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা সেবা গ্রহণে পদে পদে অরক্ষিত থাকছে ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য। এ নিয়ে কারো যেন মাথাব্যাথা নেই।
মনে রাখতে হবে, ‘ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাইভেসি বা তথ্য সুরক্ষা ভালো’। নিচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো।
১। কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন তাহলে তা সুরক্ষা করুন। অবাঞ্চিত ও অনুনমোদিত প্রবেশাধিকার থেকে ভোক্তাদের এসব ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে যুক্তিসঙ্গত নিরাপত্তা পদক্ষেপ অনুসরণ করুন।
২। আপনারা যেভাবে ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার ও শেয়ার করছেন সে সম্পর্কে খোলামেলা ও সৎ হোন। ভোক্তারা তাদের তথ্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাদের কাছে কেমনটা প্রত্যাশা করে থাকতে পারে সে সম্পর্কে ভাবুন এবং তাদের দেওয়া তথ্য নিরাপদ রাখতে ডিফল্ট পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তৈরি করুন।
৩। আপনারা যা করবেন বলেছেন তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভোক্তাদের মাঝে আস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেসি বলতে কী বোঝায় সে সম্পর্কে জনগণের সঙ্গে পরিষ্কার ও সচেতনভাবে কথা বলুন। একইসঙ্গে আপনার প্রতিষ্ঠান প্রাইভেসি বজায় রাখতে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা দিন।
৪। আপনার প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেসির সংস্কৃতি গড়ে তুলুন। ভোক্তা ও কর্মচারীদের তথ্য নিরাপদ রাখতে আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ভূমিকা রয়েছে। তাই তাদের ভোক্তা ও কর্মচারীদের তথ্য নিরাপদ রাখার গুরুত্ব ও তার প্রভাব সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিন।
৫। আপনার প্রতিষ্ঠান কিভাবে তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করছে সে সম্পর্কে ভোক্তাদের অবহিত করতে অনলাইন সিস্টেমের ‘প্রাইভেসি নোটিস’কে কেবল আপনার প্রতিষ্ঠানের একমাত্র টুল হিসেবে গণ্য করবেন না। এক্ষেত্রে কিছু ফিচার যুক্ত করুন যাতে করে ভোক্তারা সুনির্দিষ্ট কিছু ধরনের তথ্যে প্রবেশ করতে পারবে।
৬। পার্টনার প্রতিষ্ঠান ও আপনার অধিনস্থ ব্যবসায়ীদের সার্বিক বিষয়গুলো যথাযথ সতর্কতার সঙ্গে দেখভাল করুন। কেননা আপনার পক্ষে কেউ সেবা প্রদান করে থাকলে তারা যেভাবে আপনার ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও তা ব্যবহার করবে তার দায়বদ্ধতা অপনারই।